লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে দুটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার চরগাজী ও বড়খেরী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের তাণ্ডবে দোকানপাট ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়ে। এতে গ্রামীণ রাস্তায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ রবিবার ভোরে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড়ের কবলে উপজেলার দুটি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের কবলে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় ওই সব এলাকা গভীর রাত থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
চরগাজী এলাকার মির রোড এলাকার বাসিন্দা রবিউল আলম বলেন, ‘আজ রবিবার ভোরে হঠাৎ ঝড়ে রাস্তার দুপাশের প্রচুর পরিমাণ গাছ ভেঙে পড়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদকর্মী গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ঝড়ের কবলে চরগাজী ও বড়খেরী ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মানুষে ঘরবাড়ি ও পল্টি খামারের টিন উড়ে যায়। এ ছাড়া দোকানপাট ভেঙে পড়ে। সব মিলিয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
রাত থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই এসব অঞ্চলে।’
পল্লী বিদ্যুৎ রামগতি জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘গাছ পড়ে চরগাজী ও বড়খেরী ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ কর্মীরা সকাল থেকে কাজ করছেন। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে।’
উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রুহুল আমিন বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘খোঁজ-খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে। সে হিসেবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হবে।’