লেবুর খোসা ফেলে দিলে যেসব উপকার থেকে বঞ্চিত হবেন

লেবুর রস বের করে নেওয়ার পর খোসাটা হয়তো ফেলে দেন অনেকেই। তবে লেবুর খোসা দারুণ উপকারী এক প্রাকৃতিক উপাদান। ভিটামিন সির খুব ভালো একটি উৎস লেবুর খোসা। ভিটামিন সি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ত্বক কিংবা চুলের সুস্থতার জন্য তো বটেই, শরীরটাকে ঠিকঠাক রাখতে ভিটামিন সি প্রয়োজন সবারই। লেবুর খোসা খেয়ে নেওয়া তাই নিঃসন্দেহেই চমৎকার অভ্যাস। রূপচর্চায়ও আলাদাভাবে লেবুর খোসা কাজে লাগাতে পারেন।

সৌন্দর্যচর্চায় লেবুর রসের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই জানেন। তবে চুল ও ত্বকে খুব সহজে লেবুর খোসা প্রয়োগ করা যায়। ত্বক এবং চুলের গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোলাজেন। এই কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন সি আবশ্যক, যা আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন লেবুর খোসা থেকে। ত্বকের দাগছোপ দূর করতে লেবুর খোসা যেমন কার্যকর, তেমনি ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতেও তা সহায়ক। চুলেও ব্যবহার করতে পারেন লেবুর খোসার প্যাক। এমনটাই বলছিলেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি

দাগছোপ কমাতে

লেবুর রস বের করার পর খোসাটি ধুয়ে ফেলুন। ভেতরের পাতলা সাদাটে আবরণ ফেলে দিন। এবার ত্বকে লেবুর খোসা ঘষে নিন। রোজ ত্বকে এভাবে লেবুর খোসা মালিশ করলে ধীরে ধীরে ত্বকের দাগছোপ এবং কালচে ভাব কমে আসবে। রোদে পোড়া ভাবও কমে যাবে। চাইলে ত্বকে লেবুর খোসা ঘষার আগে খোসাটির ভেতরের অংশে সামান্য মধু লাগিয়ে নিতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে।

ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে

  • লেবুর খোসা বেটে নিন। এর সঙ্গে সমপরিমাণ বেসন যোগ করুন। সঙ্গে যোগ করুন সামান্য মধু। চাইলে বেসনের পরিবর্তে মসুর ডালও বেটে নিতে পারেন। সপ্তাহে দু-তিন দিন এই প্যাক ব্যবহার করুন।

  • লেবুর খোসা ধোয়ার পর রোদে শুকিয়ে একটা বয়ামে রেখে দিন। প্রয়োজনমতো বের করে নিয়ে প্রয়োজনমতো পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। এই প্যাকটিও সপ্তাহে দু-তিন দিন ব্যবহার করতে হবে।

চুলের যত্নে লেবুর খোসা

লেবুর খোসা ব্লেন্ড করে পরিমাণমতো নারকেল তেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ভালোভাবে মালিশ করুন। মিনিট দশেক পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে চুল হবে মজবুত ও মসৃণ। চুল ভেঙে যাওয়া, চুলের আগা ফাটা এবং চুলের রুক্ষতার সমস্যায় এই প্যাক হতে পারে এক সহজ সমাধান। প্রাণবন্ত চুল পেতে যে কেউই এটি ব্যবহার করতে পারেন।

শেষ কথা

লেবুর রসের চেয়ে লেবুর খোসার উপকারিতা যে অনেকটাই বেশি, তা তো বুঝতেই পারছেন। নিতান্তই কম খরচে বহু উপকার মিলবে এই সহজলভ্য উপকরণটি থেকে। তবে সৌন্দর্যচর্চায় লেবুর খোসা ব্যবহার করতে চাইলে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

  • লেবুর রস বের করে নেওয়ার পর লেবুর খোসা অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। নইলে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে।

  • ব্যবহার করার আগে কিংবা সংরক্ষণ করার আগে লেবুর খোসার ভেতর দিকের পাতলা সাদাটে আবরণটি ফেলে দেবেন।

  • ত্বকে ব্রণ থাকলে লেবুর খোসা ব্যবহার না করাই ভালো।