ক্রিকেটার নাসুমকে চড় মারা নিয়ে যা জানালেন হাথুরুসিংহে

২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে  চলাকালীন সময়ে কথা উঠেছিল, ক্রিকেটার নাসুম আহমেদকে চড় মেরেছেন তখনকার প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

‘নাসুমকে চড় মারা’ প্রসঙ্গটি নিয়ে তখনকার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কখনো স্পষ্ট উত্তর দেননি বা অস্বীকার করেছেন। প্রকাশ্যে নাসুম আহমেদও এই বিষয়ে মন্তব্য করেননি। তবে বিশ্বকাপের পর করা তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছেন বর্তমান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এবার ঘটনা অস্বীকার করলেন হাথুরুসিংহে নিজে। 

গতকাল রবিবার কোড স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, পুরো ব্যাপারটি সম্পর্কে বিসিবি কখনো তার কাছে কিছু জানতে চায়নি। মাঠে ব্যাটারদের হ্যান্ডগ্লাভস পাঠানোর জন্য ডাগআউটে পেছনে বসে নাসুমের পিঠে টোকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলংকান এই কোচ। 

হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমি কখনো কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে ঝগড়া করিনি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আবেগ দেখাই না আমি। হয়তো হতাশা থেকে আমি একটি ডাস্টবিনে লাথি দিয়েছি, যে কোনো কোচের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। কিন্তু যা হয়েছে, তার থেকে এটা একেবারেই আলাদা। এটা আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। আমি জানি না অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কত সুযোগ আমি হারিয়েছি। তারা কেবল আমার চুক্তি বাতিল করার চেষ্টা করেছে। নতুন সভাপতির পূর্বপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত ছিল এটা।’

বিসিবির বিরুদ্ধে ক্যারিয়ার ধ্বংসের অভিযোগও আনেন হাথুরুসিংহে, ‘এটাই (ক্রিকেট) সবকিছু, কারণ এটাই আমার ক্যারিয়ার। তারা আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অভিযোগ এনে আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে।’

নাসুমকে চড় মারার মতো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন হাথুরুসিংহে আমলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ ও সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার নিক পোথাস। তিনি বলেছেন, ‘তিনি খুব অভিজ্ঞ ও পেশাদার একজন কোচ। যদি তিনি এরকম হতেন, তাহলে এই পর্যায়ে টিকে থাকতে পারতেন না। আমি মনে করি, যারাই এমন অভিযোগ করেছেন তাদের (তার প্রতি) কিছুটা ক্ষোভ থাকতে পারে। আর যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছে সে হয়তো ভাবেনি যে, বিষয়টি এভাবে বিস্ফোরিত হবে। আর এখন যা কিছু ঘটেছে, তাতে আমার মনে হয় না সে অনুধাবন করতে পেরেছে যে, সে কতটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং বাংলাদেশ অধ্যায়ের পর হাথুরুর জীবনকে কতটা কঠিন করে তুলেছে। (খেলোয়াড়দের পিঠে চাপড় দেওয়ার ঘটনা) সব সময় ঘটে। ভাষার সমস্যার কারণে, হাতের ইশারায় অনেক সময় যোগাযোগ করতে হয়।’

হাথুরুসিংহের কোচিং স্টাফে ছিলেন সাবেক লঙ্কান স্পিনার রঙ্গনা হেরাথও। নাসুমকে চড় মারার অভিযোগটি বানোয়াট ছিল বলে দাবি তারও, ‘আমি সরাসরি বলতে পারি যে, কিছুই ঘটেনি। বিশ্বকাপ চলাকালীন তার ওপর অনেক ক্যামেরা ছিল। মানুষ বলতে পারে যে, একটি ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু প্রমাণ তো থাকতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বলছি যে, এরকম কিছুই ঘটেনি, কারণ আমি সেখানে ছিলাম। চড় মারা ও (পিঠে) ধাক্কার মতো দেওয়া সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার।’