আন্তর্জাতিক টেবিল টেনিসে বাংলাদেশের একমাত্র স্বর্ণ এসেছিল ২০২২ সালের মালদ্বীপে দক্ষিণ এশীয় যুব টেবিল টেনিসে। এরপর সম্ভাবনা তৈরি করেও শেষমুহূর্তে আর সোনার দেখা মেলেনি। এবার নেপালে অনুষ্ঠাতব্য একই টুর্নামেন্টে আবার সোনার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন (বিটিটিএফ)।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যস্ত করেন ফেডারেশনে জেনারেল সেক্রেটারি ক্যাপ্টেন এ এম মাকসুদ আহমেদ (সনেট)।
সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল নেপালে যাচ্ছে। অনূর্ধ্ব ১৯ বালক ও বালিকা ৩ জন, অনূর্ধ্ব ১৫ বালক ও বালিকা ৩ জন করে।
অনূর্ধ্ব ১৯ বালক জাতীয় দলের সদস্য হলেন, হাসিব (অধিনায়ক), নাফিজ (সহ-অধিনায়ক), জয় এবং সাগর। অনূর্ধ্ব ১৯ বালিকা জাতীয় দলের সদস্য হলেন খই খই (অধিনায়ক), রেশমি (সহ-অধিনায়ক), ঐশি ( সেনাবাহিনী) এবং হাবিবা।
খুব স্বল্প সময়ে প্রস্তুতি হলেও বিকেএসপির সহযোগিতায় খুবই ইনসেনটিভ প্রশিক্ষণ হওয়ায় দল নিয়ে খুবই আশাবাদী সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং দেশের একমাত্র লেবেল ৩ কোচ খন্দকার মোস্তফা বিল্লাহ। তিনি হেড কোচ হিসেবে দলের সঙ্গে যাচ্ছেন। টিম লিডার হিসেবে দলের সাথে যাচ্ছেন সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক নাসিমুল হাসান কচি।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি নতুন অ্যাড হক কমিটি দায়িত্ব নেবার সঙ্গে সঙ্গেই তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে প্রথম একমি কাপ উন্মুক্ত টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দীর্ঘদিন পর ফেডারেশনে প্রায় সাড়ে তিনশত টেবিল টেনিস খেলোয়াড় কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।
এছাড়া ২১ জন লেভেল ১ কোচকে আইটিটিএফ এর অফিসিয়াল জর্ডানের মোহাম্মদ আতুম এর তত্ত্বাবধানে ১৪ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল বিকেএসপিকে আবাসিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। খুব শিগগিরই দেশের আরো ৩০ জন লেভেল ১ কোচ তৈরি করা হবে।
বিটিটিএফ এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এম এস জামান এর পৃষ্ঠপোষকতায় আগামী ১৫ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত বিটিটিএফ প্রেসিডেন্ট কাপ উন্মুক্ত র্যাংকিং প্রাইজমানি টুর্নামেন্টে আয়োজিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া শিগগিরই আম্পায়ার্স রিফ্রেশার্স কোর্স এবং আম্পায়ারর্স বেসিক কোর্স শুরু হতে যাচ্ছে। এছাড়া ফেডারেশন কাপ টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট, জাতীয় টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট এবং ঢাকা টেবিল টেনিস লীগ শরু হবে।
সাধারণ সম্পাদক জানান, আমাদের পলিসি হচ্ছে ‘ট্রেইন এন্ড টেস্ট’, আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেব এবং প্রতিযোগিতার মাঠে তাদের উন্নতি পরীক্ষা করবো। ইতিমধ্যে একটি সংগঠন তৈরি হয়েছে ’টেবিল টেনিস সম্প্রসারণ উদ্যোগ’, যার প্রধান কাজ হবে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধ টেবিল টেনিস চর্চা নিশ্চিত করা।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের সামনে দু’টি প্রতিযোগিতা রয়েছে, সৌদি আরবে নভেম্বরে ইসলামিক সলিডারিটি গেমস এবং ২০২৬ এর জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সাফ গেমস। এই দুটোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।