জামাই আদরে আদালতে নেওয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাদের: রিজভী

ভয়াবহ অপরাধী আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘জামাই আদরে’ আদালতে হাজির করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, গণহত্যাকারী হাসিনার বাহিনীর নেতারা দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের ভয়াবহ অপশাসনের জন্য ক্ষমা চাওয়া তো দূরে থাক, উল্টো আদালতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। হাজারও শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আরও বড় ফ্যাসিস্ট হয়ে ফিরে আসার হুমকি দিচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, পতিত স্বৈরাচারের খুনের আসামিরা প্রকাশ্যে আদালতে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়ার বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখে। 

জুলাই-আগস্টের শাজাহান খান গংরা আদালতে এসে সরকারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতকে ভেংচি কাটছে, পুলিশকে থোরাই কেয়ার করছে। হাসিনার দোসররা আসামি হয়েও আদালতে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে, তা মূলত অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অকার্যকর’ প্রমাণের এক গভীর চক্রান্ত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসন নীরবতায় তারা এমন আচরণ করছে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাসিনার অলিগার্করা ‘সর্ষের ভেতর ভূত’ হয়ে থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার একটি ভরসা হচ্ছে পাচার করা টাকা, সেই টাকার জোরে দেশে নানা ঘটনা ঘটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। একটি প্রবাদ আছে ‘টাকায় কথা কয়’- শেখ হাসিনা এই প্রবাদটি কাজে লাগাতে চাচ্ছেন।

প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তির সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে বলে দাবি রিজভীর। তিনি আরও বলেন, আঘাত করছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়িতে। ভাস্কর মানবেন্দ্র ঘোষের মানিকগঞ্জের বাড়ি আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয়েছে। কোনো কোনো পক্ষ আছেন যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান, তাদের নেপথ্য ইন্ধন না থাকলে ফ্যাসিস্ট অনুচররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দুঃসাহস দেখায় না।

আওয়ামী দুঃশাসনের ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্তরা আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে বলেও উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, সুতরাং হাট-বাজার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিস্টদের সিন্ডিকেট তৎপরতা বহাল তবিয়তে কাজ করে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালামসহ অনেকে।