৫ দিনের রিমান্ডে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালানোর মামলায় চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন আদালত এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
ছোট সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড়ের জালালাবাদ পেট্রোল পাম্পের পেছনের একটি ভবনে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়েন সাজ্জাদ। গোলাগুলির এক পর্যায়ে পাশের ভবনের ছাদে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। ওই সময় কাজল ও জাবেদ নামে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাজ্জাদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ রাতে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স থেকে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করেছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি টিম। পরে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।
সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী। তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। একই বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাজ্জাদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে খোদ পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়।
২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর বিকেলে চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া এলাকায় দোকানে বসে চা পান করার সময় তাহসিন নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে কালো রংয়ের একটি গাড়িতে করে আসা লোকজন। ওই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় তাহসিনের বাবার দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছিল পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে।
এছাড়া গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার কালারপোল এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদা না পেয়ে গুলি করেন সাজ্জাদ। ওই ঘটনার একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ গভীর রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকায় ছোট সাজ্জাদের সহযোগীরা একটি প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েন। এতে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছিলেন। ছোট সাজ্জাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার হোসেন বাবলা সাজ্জাদকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেন বলে তার সন্দেহ ছিল। এজন্য সরোয়ারকে টার্গেট করে ছোট সাজ্জাদের অনুসারী সন্ত্রাসীরা গাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছিল। গত ৬ এপ্রিল জোড়া খুনের মামলায় সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।