হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল হাইকে (৬০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যাকারী দম্পতিসহ তিনজকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে কাপ্তান মিয়াকে বিদেশে পালানোর গতকাল সোমবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব।
মঙ্গলবার দুপুরে চুনারুঘাট থানা পুলিশ হবিগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করলে সেখান থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ঘটনাস্থলের পাশের গাদিশাইল গ্রামের কাজল মিয়া (৫০) ও তার স্ত্রী মিনারা খাতুন (৪৫)।
অন্যজন হলেন ডুলনা গ্রামের মরম আলীর ছেলে কাপ্তান মিয়া।
জানা যায়, মিনার ৮ বছর আগে সরকারি রাস্তা দখলের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাস কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছিলেন। মামলার প্রধান আসামি ডুলনা গ্রামের মরম আলীর ছেলে কাপ্তান মিয়া বিদেশে পালানোর গতকাল সোমবার রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূর আলম এসব তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কাজল-মিনারা দম্পতি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি এবং দুজনই প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত। মঙ্গলবার ভোররাতে চুনারুঘাট উপজেলার শাকির মোহাম্মদ গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কাপ্তান মিয়াকেও আদালতে হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় মিনারা খাতুন, কাপ্তান মিয়া ও মোতাব্বির মিয়াদের সাথে ডুলনা গ্রামের একটি জায়গা নিয়ে আব্দুল হাইয়ের বিরোধ ছিল।
শনিবার দুপুরে আব্দুল হাই সেই জায়গার বাঁশ কাটতে যাওয়ায় তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই আব্দুল হাই মারা যান।
নিহত আব্দুল হাই একই উপজেলার জারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় আসামপাড়া বাজারে কাপড়ের ব্যবসায়ী। গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে পাশের ডুলনা গ্রামে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে আব্দুল হাই ডুলনা গ্রামের রাস্তার পাশে নিজের জায়গা থেকে বাঁশ কাটছিলেন।
এ সময় কয়েকজন নারী-পুরুষ এগিয়ে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার ৮ জনের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।